
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসের র্যালি হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে দিয়ে ফটিকছড়ি যাওয়ার পথে মাদ্রাসার দিকে আঙুল তুলে ‘অশোভন অঙ্গভঙ্গি’ করে আরিয়ান নামে এক যুবক। এটিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা একসময় সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ২০০ শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৩০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আরিয়ান ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানি দিয়ে মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছেন।
জানা গেছে, এই ঘটনায় ১৭০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এছাড়া স্থানীয়দের মধ্যে ২০-৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক পর্যায়ে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বর্তমানে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী-খাগড়াছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউসার মাহমুদ বলেন,
জশনে জুলুসকে কেন্দ্র করে কওমী ও সুন্নিপন্থীদের মধ্যে কিছু ঘটনার জেরে উত্তেজনা চলছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এই বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, মসজিদ ও মাদ্রাসা অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত আরিয়ান ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে হাটহাজারীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তিনি তৃতীয় পক্ষকে সুযোগ না দিয়ে সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত